Tarek Rahman: তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন রাজনৈতিক সৌজন্যের নতুন দৃষ্টান্ত
দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন দিলেন তারেক রহমান, দিলেন রাজনৈতিক বার্তা
দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফেরা দেশের রাজনৈতিক পর paysage নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। দেশে পৌঁছানোর পরপরই তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসকে ফোন করেন এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য তাঁর ধন্যবাদ জানান। অনেকেই এই ফোনকলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে বিবেচনা করছেন।
ফোনালাপে, তারেক রহমান উল্লেখ করেন যে দেশে ফেরার প্রক্রিয়ায় যে ধরনের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি কৃতজ্ঞ।
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানানোর গুরুত্ব
রাজনৈতিক পরিসরে সাধারণত ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে সরাসরি সৌজন্যমূলক যোগাযোগ খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না। তবে, তারেক রহমানের ফোনকলের ঘটনা এ ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক রাজনৈতিক সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফোনালাপ রাজনৈতিক উত্তেজনা কমানোর একটি লক্ষণ হতে পারে। একই সাথে, এটি ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং নির্বাচনী পরিবেশকে আরও সহনশীল করতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন এবং অন্যান্য বিষয়াদি রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে নতুনভাবে সূচিবদ্ধ করতে পারে।
বিএনপি দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকারকে তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে উল্লেখ করে আসছে। তবে অবশেষে, তিনি সরকারের পতনের পনেরো মাস পর দেশে ফিরে আসছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মি. রহমানের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি তার নিজের উদ্বেগ দূর করার পাশাপাশি, দলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের জন্য যেন ‘ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর’ মতো। এটি দলের জন্য এক ধরনের স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
এভাবে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দলটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুনর্গঠিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তারেক রহমান (জন্ম: ২০ নভেম্বর ১৯৬৫) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি এর আগে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এবং সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়, তার পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং দেশকে মুক্ত করতে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। সে সময় তিনি, তার মা এবং ভাইসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে একত্রে যুদ্ধে অংশ নেন।